নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনার সপ্তাহ পার হয়ে গেলেওে নিখোঁজ হওয়া জেলে আরিফের সন্ধান মেলেনি।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে ফিশিং ট্রলার ডুবিতে ১৪জন মাঝি মাল্লা ফিরে আসলেও তাদের সহকর্মী আরিফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁর কোন খবর না পাওয়ায় পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আরিফ বেঁচে আছে কি? ওই অজানা আতঙ্ক এখনও বিরাজ করছে তার স্ত্রী ও সন্তানদের মাঝে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুলাই রবিবার আরিফ ১৫ জন জেলেসহ যথারীতি সাগরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়। ১ আগস্ট সকালে হঠাৎ সমুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে সিরাজ ডুবাইর ট্রলারটি ডুবে গেলে মাঝি মাল্লারা জীবিত উদ্ধার হলে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সে আজো নিখোঁজ রয়েছে।

নিখোঁজ আরিফ বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড জোড়খালী গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে। সে দুই কন্যা সন্তানের জনক।

সরেজমিনে নিখোঁজ আরিফের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরো পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একদিকে সন্তান হারানো মায়ের আহাজারি অন্যদিকে স্বামী হারা স্ত্রীর আত্মচিৎকারে পুরো বাড়ির পরিবেশটা ভারি হয়ে আছে। অবুঝ সন্তান গুলো অপটলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বাড়িতে আসা মানুষগুলোর দিকে। পরিবারকে সবার সামনে সান্তনা দিলেও নিজেদের মন কে শান্তনা দিতে পারছেনা প্রতিবেশী ও অত্মীয় স্বজনরা। বাকরুদ্ধ হয়ে দরজার পাশে দাড়িয়ে আছেন বাবা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাইসার খসরু বলেন, গভীর সাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনার নিখোঁজ জেলে আরিফের বাড়িতে আমরা গিয়েছি, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারকে ত্রান সহ নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সে সাথে সার্বিক খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই