মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জোকা গ্রামে ধুমপান করার অপরাধে মায়ের বকুনি খেয়ে অবশেষে মায়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সোহাগ মোল্যা (১২) নামে এক স্কুল ছাত্র। নিহত স্কুল ছাত্র জোকা গ্রামের শেরজান মোল্লার পুত্র ও খামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ।
নিহত শিশুটির মা সোহাগী বেগম জানান, সে প্রায়ই পরিবারের লোকজনদের উপর রাগ করে বাড়ি বাইরে পালিয়ে থাকত। ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সে পরিবারের কিছু খুটিনাটি কাজকর্মও করত। তার অভ্যাস ছিল বিকেল হলেই বাড়ির পাশে স্কুল মাঠে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার একপর্যায়ে সে দিনেদিনে ধুমপানে আশক্ত হয়ে পড়ে। ধুমপানের বিষয়টি বন্ধুদের মাধ্যমে শিশুটির মা জানতে পেরে গত শুক্রবার রাতে তার সন্তান সোহাগ বাড়ি ফিরলে তার উপর একটু রাগারাগি করেন। পরদিন অর্থ্যাৎ শনিবার সকালে শিশুটি দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় মা তাকে আবারও বকুনি দেন । এভাবে একপর্যায়ে শিশুটি সকালের নাস্তা না খেয়েই বাড়ি থেকে বের হয়। পরিবারের লোকজন দুইদিন ধরে ব্যাপক খুঁজাখুঁজির একপর্যায় রবিবার রাত অনুমান ১০টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষের আড়ার সাথে শিশুটির গলায় রশি বাঁধা মৃত ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসি।
পরে এলাকাবাসির সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রবিবার রাত অনুমান ২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা মর্গে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোশারফ হোসেন বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর আসল রহস্য বলা সম্ভব নয় ।
বার্তা বাজার/জে আই