ইন্টারনেট সেবাদাতাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার করার অভিপ্রায়ে বাণিজ্যমন্ত্রনালয়ের আইবিপিসি’র সহায়তায় ধানমন্ডি ও মহাখালীতে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। শনিবার রাতে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ল্যাবের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইবিপিসি’র কো-অর্ডিনেটর মো. আবদুর রহিম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিডিনগ সাধারণ সম্পাদক বরকতুল আলম বিপ্লবসহ আইএসপিএবি’র যুগ্ম মহাসচিব মো. আব্দুল কাইয়ুম রাশেদ ও আনোয়ার হোসেন, পরিচালক সাকিফ আহমেদ, এএম কামালউদ্দীন আহমেদ সেলিম, ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন ও মো. নাসিরউদ্দিন। ।

অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটর্স গ্রুপের (স্যানগ) ৩৯তম ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটর্স গ্রুপের (বিডিনগ) ১৬তম সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ৪ দিনব্যাপী কারিগরি প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন বাণিজ্য সচিব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭০ মিলিয়ন। পৃথিবীর অনেক দেশে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের অভাবে।  তাই মানুষকে গড়ে তুলে কর্মক্ষম করা গেলে তাহলেই একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে। পৃথিবীর দেশে দেশে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে কষ্টের কাজ করে, কম আয় করে। আমার খুবই ভালো লাগছে যে আইএসপিএবি প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলছে। এই সংগঠনের ২৭০০ সদস্য তাই বিশাল একটি শক্তি। কারো দিকে না তাকিয়ে আপনারা যদি এভাবে কাজ করে যান আমরা সাধ্যমতো আপনাদের সহযোগিতা করবো।

সভাপতির বক্তব্যে ইমদাদুল হক জানান, আইএসপিএবি নিক্স এর মাধ্যমে এখন প্রায় ৯০ জিবিপিএস ট্রাফিক যাচ্ছে।  তিনি বলেন, আশা করছি, আগামী ছয় মাসে আমরা দেশের শীর্ষ স্থানীয় নিক্স এ পরিণত হবো। আমরা চাই আমাদের ক্যাশ সার্ভারগুলো এই নিক্সেই থাকুক। তাখন জাতীয় নিরাপত্তা অটুট থাকবে। এর ফলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান। চট্টগ্রাম, খুলনা এবং অন্যান্য বিভাগে নিক্স স্থাপন করতে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তা কামনা করছি।

এসময় তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ দেয়া আন্তর্জাতিক টেরি স্যুইটসার (এপনিক), আব্দুল্লাহ আল নাসের (এপনিক), মোঃ জোবায়ের খান, (এপনিক), ওয়ারেন ফিঞ্চ (এপনিক), শামীম রেজা, (এপনিক), সুমন কুমার সাহা (এডিএন টেলিকম), অনুরাগ ভাটিয়া (হ্যারিকেন ইলেকট্রিক), রুপেশ ব্যাসনেট (ওএম নেটওর্য়াকস) এবং শায়লা শারমিন (প্রাইম ব্যাংক) উপস্থিত ছিলেন।