রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বিএনপির ২২ নেতাকর্মী।

তাদের একজনের চোখে গুলি লেগেছে। আহত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে এ সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন অলিগলিতে জড়ো হচ্ছিলেন। এর মধ্যে মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জেলা বিএনপির একাংশ মহাসড়কে উঠতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে জেলা বিএনপির অন্তত ২২ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।

ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম টিটুর চোখে গুলি লেগেছে। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিতে আহত বিএনপি নেতারা হলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম টিটু, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্যাহ, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন শিকদার, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, শাহেদ আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের জিকু, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রাসেল রানা, ফতুল্লা থানা কৃষক দলের সভাপতি আমির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক পলাশ আহমেদ, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিঠু, সোনারগাঁ থানা ছাত্রদল নেতা আলভী, সোনারগাঁ জাসাসের সভাপতি আমীর হোসেন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তার।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমরা সকালে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে গেলে আমাদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ ও গুলি করে আমাদের ২২ নেতাকে আহত করা হয়। আমাদের ফতুল্লা বিএনপির সভাপতি টিটু গুরুতর আহত, তার চোখ আর ঠিক হবে কিনা সেটি নিয়ে চিকিৎসকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অসংখ্য নেতাকর্মী আহত। আমরা সেখানে অবস্থান করেছিলাম কিন্তু সড়কে ওঠার আগেই এ হামলা হয়েছে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু বলেন, পুলিশ সড়কে জানমালের নিরাপত্তায় যা করা দরকার করেছে। কাউকে আটক বা বিনা কারণে হয়রানি করা হয়নি। আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায়।