ঢাকায় দুই দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত থেকেই প্রবেশদ্বার সাভারের আমিনবাজারে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এমনকি সন্দেহজনক মনে হলেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাচ্ছে।

তবে কোনোরকম তল্লাশি ও জিঙ্গাসাবাদ ছাড়াই আমিনবাজারের চেকপোস্ট পার হলো আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বহনকারী কয়েকশ যানবাহন।

জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরের দিকে ঢাকার সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও মানিকগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে আমিনবাজারের চেকপোস্টে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানার সংবলিত কোনও যানবাহনকে থামাতে দেখা যায়নি। কোনোরকম তল্লাশি বা জিঙ্গাসাবাদ ছাড়াই তারা চেকপোস্ট পার হচ্ছে।

আশুলিয়ার এক যুবলীগ নেতা বলেন, তারা শতাধিক গাড়ি নিয়ে দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। মাত্র ৪০ মিনিটে তারা সমাবেশস্থলে পৌঁছান। জিঙ্গাসাবাদ তো দূরের কথা পথে কোনও তল্লাশি বা তাদের গাড়ি থামানোর কোনও সিগন্যালও দেওয়া হয়নি। তারা নির্বিঘ্নে ঢাকা যেতে পেরেছেন।

ধামরাই পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মোল্লা জানান, ধামরাই থেকে দুই শতাধিক গাড়ি নিয়ে তারা সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন। কোনও চেকপোস্টে তাদের থামতে হয়নি। খুব সহজেই তারা সমাবেশে যোগ দিতে পেরেছেন।

সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, দুপুরের সময় থেকে আর তেমন কোনও গাড়ি তল্লাশি করা হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের গাড়ি বহর বলে ছাড়া হয়েছে বিষয়টি এমন নয়।

গতকাল রাত থেকেই দেখা গেছে, ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমিনবাজারের চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মোবাইল ফোনে বিএনপির সমাবেশের ছবি বা সংশ্লিষ্ট কিছু পেলেই আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে সড়কের ঢাকামুখী লেনে সৃষ্টি হয় যানজট। এ ছাড়াও চেকপোস্ট থেকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাদের একটি প্রিজন ভ্যানে সকালে সাভার মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই