ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী মনে করে তাদেরকে কেউ কিছু করতে পারবে না। আপনাদের মনে রাখতে হবে ফেরাউন নীল নদে ডুবে মরেছিলেন। আজকে দেশের সব মানুষ আপনাদের জুলুমের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, আজকে আপনারা বেগম পাড়া তৈরি করেছে৷ ছাত্রলীগের এক নেতা ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করে। এই টাকা জনগণের টাকা। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজকে আমাদের জান মালের নিরাপত্তা নাই। আমরা আমাদের অধিকার রক্ষায় জানমাল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বো। আমাদের দাবি জাতীয় সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ বলেন, সরকার বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, যেই সংবিধান মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে না সেই সংবিধান আমরা চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। আজকে আমাদের নির্ধারিত জায়গায় সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নাই। অন্যান্য দল সভা সমাবেশ করতে পারলে আমরা কেন পারব না? প্রশাসন জনগণের কর্মচারী। জনগণকে সভা সমাবেশ করার অধিকার দিতে হবে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এই সরকার ১৪তে বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছে। ১৮তে দিনের দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ২৪শেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার নীলনকশা করছে। তাদের এই নীল নকশা আমরা বাস্তবায়ন হতে দেব না। জাতীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় সরকার সারা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস বলেন, প্রশাসনে অনেক লোক আছে যারা সম্মানিত লোককে সম্মান দিতে জানে না। বর্তমান সরকার এখন প্রার্থীদের উপরও হামলা করে। আগে নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়া হত, গ্রেপ্তার করা হতো, জেলে দেওয়া হত, এখন ভোটের বাক্স ছিনতাই করা হয়। রাতেই বাক্সো ভর্তি করা হয়। কোনো কিছুর পতনের পূর্বে তাদের ডানা গজায়। আওয়ামী লীগের ডানা গজিয়েছে। তাদের পতন অনিবার্য। সরকারের পতন না হওযা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।

কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, সরকার রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। যারা অধিকার হরণ করে, বাক স্বাধীনতা হরন করে, মিথ্যা মামলা দেয় তারা জালমে। জালেমের বিরুদ্ধে কথা বলা আন্দোলন করা জিহাদের অংশ। আজকে বিরোধী দলের সমাবেশ যারা অংশ গ্রহণ করতে আসছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আপনারা আজকে যে আচরণ করছে এর খেসারত আপনাদেরকে দিতে হবে। এসব বন্ধ করুন, না হলে জনগণ এসব মেনে নেবে না।

যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, আজকে আমাদের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে। আমাদেরকে সেখানে প্রশাসন সমাবেশ করতে দেয়নাই। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, সভা সমাবেশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা আমাদের আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবো। আমরা প্রশাসনকে বলবো আপনারা যদি সত্যিকার দেশকে ভালোবাসেন তবে আমাদেরকে বাঁধা না দিয়ে সহযোগিতা করুন।

যুগ্ম মহাসচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, আলেমরা নসিহত করে। আর আপনার প্রশাসনের লোক নসিহত করতে দেন না। নসিহত শুনেনও না। আপানার নসিহত নয়, লোভে পড়ে লোভি সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। আপনাদেরকে কি ডিউটি দেওয়া হয়েছে বিরোধী দর দমন করার? আপনারা জনগণের কর্মচারী। আপনারা যদি জনগণের উপর হাত তুলেন তবে আপনারও রেহাই পাবেন না।

বার্তা বাজার/জে আই