‘রাস্তার কোন কাজ হয় নাই। ৪০ বছর যাবত আমাদের একই অবস্থা, কোন গাড়ি ঢোকে না, ইজিবাইক চালকদের এই রাস্তায় আসতে বললে মাফ চায়। জরুরী প্রয়োজনে রোগী নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হলে রোগীকে লাশের খাটে করে নিয়ে যেতে হয়। অনেকে আবার চকির সাথে বাস বাইন্ধা চকির উপরে সোয়াইয়াও রোগী নিয়ে যায়। এই কেস্টপুর (কৃষ্ণপুর) একটি সেন্টার (ভোট কেন্দ্র)। এই গ্রামে দুই হাজার ভোটারসহ মোট ৬ হাজার মানুষ বসবাস করে। সকলের চলাচলের একমাত্র রাস্তাই এটি। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা নাই।’

এ কথাগুলো বলেন, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর-সারিস্তাবাদ বটতলা সড়ক পাকা করনের দাবিতে গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীদের করা মানববন্ধনের এক বক্তা টুটুল।

বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিয়ার ফকির ও মেরজন মাতুব্বরের উদ্যোগে কৃষ্ণপুর মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় পাইকপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা রানা, কৃষ্ণপুর মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিক মুফতী হাফিজুর রহমান, আজিম ফকিরসহ অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, এ সড়ক দিয়ে দুইটি মাদ্রাসা ও একটি প্রাইমারী স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী চলাচল করে। এটা ছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা নাই। ৪০ বছর যাবত রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিতে ভরে যায়। জরুরী প্রয়োজন হলেও খানাখন্দের কারণে গাড়ি, ভ্যান, ইজিবাইক কোন কিছুই ভিতরে আসতে পারে না। আমরা অনেক আবেদন জানিয়েছি, কিন্তু এখনো কোন কাজ করে নাই। মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খান এসে দেখে গেছেন এবং সড়ক পাকা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এমপির স্থানীয় প্রতিনিধি আ.ফ.ম ফুয়াদ উপজেলা প্রকৌশলীকে একাধিকবার পাঠালেও রাস্তার কাজ শুরু করে নাই। এজন্য আমরা চরম দুর্ভোগে আছি। আমরা নৌকার ভোটার হয়েও কেন সুবিধা বঞ্চিত হবো। আমরা চাই অতি দ্রুত সড়কটি যেন পাকা করে দেয়া হয়।

জানা গেছে, কৃষ্ণপুর-সারিস্তাবাদ বটতলা সোয়া ২ কিমি সড়ক পাকা করনের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে জাচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ প্রতিনিধি আ.ফ.ম ফুয়াদ। কিন্তু এ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। যার ফলে সড়কটির উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

বার্তাবাজার/এম আই