বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাজারে পণ্যের দাম যা বাড়ছে এর পেছনে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রেক্ষাপট আছে। তবে কিছু ব্যবসায়ী সুযোগও নিচ্ছেন। তাদের সামাল দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
রোববার রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মে মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাজারে তেল ও চিনির দাম নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনির দাম বেড়েছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এপ্রিল মাস থেকে শুল্ক ছাড় অব্যাহত না রাখায় ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। তেলের ওপর শুল্ক ছাড় অব্যাহত রাখতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিনির শুল্ক ছাড় ৩১ মে শেষ হবে। চিনির শুল্ক ছাড় অব্যাহত রাখতেও চিঠি দেওয়া হবে। তারা যদি শুল্ক ছাড় অব্যাহত রাখে তাহলে বাজারে তেল ও চিনির দাম কমতে পারে। দেশে চিনির চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে।
তিনি আরও বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে তেল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি মাসে এক কোটি পরিবারকে একবার করে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। টিসিবি এসব পণ্য ক্রয় করে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে থাকে। দাম বাড়লে টিসিবিকেও অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে হয়।
ডিজিটাল কার্ড কবে নাগাদ চালু করা হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ত্রুটিমুক্ত একটি স্মার্ট কার্ড উপহার দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। এ জন্য একটু সময় বেশি লাগছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ কাজ অনেকটাই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে টিসিবির মাসিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সারা দেশে মে মাসের জন্য ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে এক কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চিনির দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর মসুর ডাল আগের মতো প্রতি কেজি ৭০ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
বার্তাবাজার/এম আই