পঞ্চগড় টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচারের ছাত্র আরিফুল ইসলাম (১৯) হত্যার প্রতিবাদে মো: রাকিবুল ইসলাম (হার্বাট), রেজা, পলাশ, রুবেল ও আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ।

রবিবার (১৪ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য দেন মৃত আরিফুলে বাবা মো: জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, পাশের বাড়ীর এক মেয়েকে আমার ছেলে একতরফা ভালোবাসতো। কোন দিন না দেখিলে থাকিতে পারতো না। কিন্তু মেয়ে আরিফুলকে ভালোবাসতো না। হত্যা হওয়ার ১৫ দিন আগে মো: রাকিবুল ইসলাম (হার্বাট), রেজা, পলাশ, রুবেল, আনিছুর আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি ও গুম করার কথা বলেন। আমরা বিষয়টি তেমন ভাবে নিই নাই। তারা যে, সত্যিকারে আমার ছেলে মরে ফেলবে তা কোন দিন ভাবিনি। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার সময়ে আমার ছেলে নিখোঁজ হয়। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে নারায়গছ এলাকার পশ্চিম পাশে একটি পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। থানায় যাওয়ার পরে দোষীদের নাম উল্লেখ করি। পরে দেখি একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেছে।

মৃত- আরিফুলের বাবা আরো বলেন, খুনিদের নাম বলার পরেও তারা আর্জিতে নাম উল্লেখ করে নাই। আজ খুনিতে আমাদের চোখের সামনে বুক ফুলিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে ধরা হচ্ছে না।

মৃত- আরিফুলের মা বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলের হত্যার দোষীদের ফাঁসি চাই। রেজা, হার্বাট সকালে একবার আবার বিকালে একবার হুমকি দিয়ে গেছেন। রাতের বেলায় আমার স্বামী সন্তান ছিলো না, আমাকে বিভিন্ন হুমকি দেখিয়েছেন। ঘটনার বিষয়টি মানুষ জনকে না বলার জন্য। মসজিদের সামনে অনক মানুষকে আমি বলে দিয়েছি। তারাই আমার সন্তানকে হত্যা করেছে। গত ১ মাস থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান মো: তারেক হোসেন শান্তনা দিয়ে আসতেছে। কিন্তু কাজ করতেছেনা। আমার সন্তানের বিচার পাচ্ছিনা কেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার প্রার্থনা করেন তার মা । আমি মা হয়ে এ ব্যাথা কিভাবে সহ্য করব এমন টা বলেন তিনি।

মৃত-আরিফুলের ইসলামের বড় ভাই মো: আমিনুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ১ মাস থেকে আমার ভাইয়ের হত্যার বিষয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করে আসতেছিলাম । কিন্তু ফলপ্রসু আশা না পাওয়ায়। পঞ্চগড় জেলা জজ কোটে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি এখনো এন্ট্রি হয় নাই। এই মামলাটি বিজ্ঞ আদালত যেন সু-নজরে নেয় এই জন্যই জোর দাবি জানাচ্ছি।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান আলী জানান, আরিফুলের ঘটনায় তার পরিবার একটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় এজাহার করেছিলেন। মামলার পাওয়ার পর থেকে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

বার্তাবাজার/এম আই