‘বাংলাদেশের পতন বা ধ্বংস থেকে রক্ষা করছে প্রবাসীদে রক্ত পানি করে আয় করা রেমিট্যান্স। নিয়মিত রেমিট্যান্স না পাঠালে বাংলাদেশ কে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হত না। মুমিনের জান যাবে তবু ঈমান যাবে না তাই সত্যি বলতেই হবে।’

গতকাল বাদ মাগরিব কুয়ালালামপুর হোটেল জি টাওয়ারে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যেগে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন, কুমিল্লার আলোচিত সাড়াজাগানো ইসলামী চিন্তাবিদ নাগাইশ দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা মো. মোশতাক্ ফয়েজী।

তিনি বলেন, প্রবাসীর কষ্টের সীমা নেই, তাদের ঈদ ও কোন আনন্দ নেই, মা – বাবা, আত্মীয় স্বজন মারা গেলে তার মূখটা পর্যন্ত প্রবাসীরা দেখতে পারেন না, স্বজন ফেলে প্রবাসে নিঃসঙ্গ জীবন কাটান, এসব কথা বলার সময় অনেকে প্রবাসীদের দেখা যায় আবেগাপ্লুত হয়ে উচ্চ স্বরে কান্না করছেন, তখন বলরোমে এক বেদনাদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, প্রবাসীরা তখন চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

প্রবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে অর্থ উপার্জন করে তা ১০০ ভাগ হালাল। এগুলো বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের রডের বদলে বাঁশ দিয়ে অবৈধ টাকা না। প্রকৃত অর্থে প্রবাসীরাই সোনার সন্তান। দেশে একজন বড় চিকিৎসক থেকেও প্রবাসীরা সম্মানিত। কারণ প্রবাসীরা মানুষের পেট কেটে নরমাল ডেলিভারিকে সিজার করে হাজার হাজার টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করেন না।

অবশ্য এর আগে বয়ানের প্রথমে কোরআন ও হাদীস থেকে আলোচনা করার সময় মানুষের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন উদাহরণ টেনে বিশদ বর্ণনা দেওয়ার সময় প্রবাসীরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন।

তিনি বলেন, আমাদের একমাত্র আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন, যেহেতু আল্লাহ’র কোন অংশীদার বা সমকক্ষ আর কেউ নেই তার আল্লাহ পাক ছাড়া কারো ইবাদত ও সেজদা করা যাবে না। এসময় একটি জেলার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি দেখলাম সেখানে মাজারে ও পীর কে সেজদা করে এমনকি পীরের শরীরের গোসল করা পানি পর্যন্ত পান করে, এগুলো ঠিক নয়।

উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এম ফরহাদ হোসেন এবং প্রবাসী আয়োজকদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন, আঃ আজিজ মোল্লা, মোঃ ইকবাল হোসেন, জামাল উদ্দিন রানা ও সাংবাদিক কায়সার হামিদ হান্নানসহ শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী বৃন্দ।

বার্তাবাজার/এম আই