দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার করায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ টিমকে নগদ এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের শাহবাগ থানার সংশ্লিষ্ট টিমকে এই বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। এসময় ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার আসামি গ্রেপ্তার করা পুলিশ টিমকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এদিন ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন তিনি।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১১টার দিকে ‘ছুরিকাঘাতে’ আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়তেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় পরদিন বুধবার (১৪ মে) সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, ঘটনার পরপরই মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর রাজাবাজারসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার উপজেলার যতিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)। এদিকে বুধবার আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।