দেশ বাঁচাতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। ঝামেলা এড়াতে অনেক নেতাকর্মী রাতেই সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছান।

শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানী ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পাশে সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। এর মাঝে মঞ্চে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে নাটক ও গান পরিবেশন করছেন দলের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। আজকের তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে শাহাবাগ থেকে মৎস্যভবন, অপরদিকে কাকরাইল মসজিদ ও হাইকোর্ট মোড় থেকে মৎস্যভবন পর্যন্ত মিছিলে নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। ফলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায় গাড়িতে আটকে থাকা যাত্রীদের।

সমাবেশে আসা নারায়ণগঞ্জ যুবদলের কর্মী শান্ত বলেন, ‘আর কত ঘরে বসে থাকা যায়। এলাকায় হাটতে পারি না। কথা বলতে পারি না। এখন আর ভয় নয়। সরকারের পতন না করে ঘরে ফিরে যাবো না।’

ফরিদপুর জেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের আরেক কর্মী ওমর বলেন, ‘কোনও কিছুই এখন আর আমাদের আটকে রাখতে পারবে না। আমাদের অনেকেই মাথায় মামলা নিয়ে ঘুরছে। এখন মুক্তি চাই। মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত নিস্তার নাই।’

উল্লেখ্য, সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে তরুণদের উজ্জীবিত করতে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এর ঘোষণা দেয় বিএনপি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এর আগে গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম, ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল, ৯ জুলাই সিলেট ও ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ হয়েছে। ঢাকায় আজকের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই সমাবেশ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বার্তাবাজার/এম আই