পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তানের ওপর ভারতীয় সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনে সামরিক বাহিনীর ১১ সদস্য ও ৪০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ৬ মে রাতে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের ওপর হামলা শুরু করে। ভারতের হামলায় পাকিস্তানে মোট ৪০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজন নারী ও ১৫ জন শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১২১ জন, যাদের মধ্যে ১০ জন নারী ও ২৭ জন শিশু।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন থেকে ‘মাতৃভূমিকে সাহসের সঙ্গে প্রতিরক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ১১ সদস্য শহীদ ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন।’

এতে আরো বলা হয়, ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে কখনো যদি চ্যালেঞ্জের চেষ্টা করা হয়, তবে তার তাৎক্ষণিক, পূর্ণমাত্রার সিদ্ধান্তমূলক জবাব দেওয়া হবে।’

এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের হামলায় দেশটিতে ১৫ বেসামরিক লোক ও পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, ভারতের ভয়াবহ আগ্রাসন পাকিস্তানি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করেছে। পুরো জাতি ও এর সামরিক বাহিনী নয়াদিল্লির শত্রুতার জবাবে সব সময় তৈরি রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে নিহত সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

এদিকে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ‘স্বীকৃত সন্ত্রাসী’।

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসকে তারা বহির্বিশ্বে নিয়ে গেছে। কানাডায় গিয়ে তারা শিখদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।’

খাজা আসিফ বলেন, ইসলামাবাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে কীভাবে দিল্লি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থায়ন করে।