আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের একটি বক্তব্য দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম ভুলভাবে উপাস্থপন করেছে বলে জানিয়েছে তার কার্যালয়। বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, চিফ প্রসিকিউটর জুলাই মাসে গণহত্যা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন।

এ ধরনের সংবাদ স্পষ্টতই চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের বিকৃতি এবং অপপ্রচার।
কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানী স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, চিফ প্রসিকিউটর নিজেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, জুলাইয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত হত্যাযজ্ঞ বা Mass Murder সংগঠিত হয়েছে, যাহা বাংলায় সাধারণভাবে গণহত্যা বলা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী Genocide অর্থ হচ্ছে জাতিগত নির্মূল (Ethnic Cleansing) অর্থে গণহত্যা।

তবে তিনি এই ঘটনার জন্য ‘জেনোসাইড’ (Genocide বা জাতি/গোষ্ঠীনিধন) এর অভিযোগ আনেননি বরং অভিযোগ এনেছেন ‘ক্রাইম এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ বা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে, যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ব্যাপক ও পদ্ধতিগত গণহত্যা।

আইনের যথাযথ অর্থ না জেনে বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।

এদিকে আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে ধরনের অপরাধ হয়েছে, সেটি ম্যাস কিলিং বা ম্যাসাকার; জেনোসাইড নয়। গণহত্যার কোনো চার্জ বা অভিযোগ নেই। আন্তর্জাতিকভাবে যে সংজ্ঞা রয়েছে, সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী বাংলাদেশে যেসব অপরাধ হয়েছে, সেগুলো ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি বা মানবতাবিরোধী অপরাধ! এটি গণহত্যার অপরাধ নয়।

বাংলাদেশে যে ধরনের অপরাধ হয়েছে, সেটি ম্যাস কিলিং বা ম্যাসাকার হয়েছে; জেনোসাইড নয়।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ