কুড়িগ্রামের উলিপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে নিয়েছেন বিএনপির নেতারা। তারা সেখানে ‘চর উন্নয়ন কমিটি, উলিপুর শাখা’ লেখা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন। রোববার বিকেলে সাইনবোর্ডটি লাগানো হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের এ কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। পুড়ে যাওয়া কার্যালয়টিতে বর্তমানে দরজা-জানালা নেই। সেখানে কুড়িগ্রামে চর উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়। চরাঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে এ কমিটি কাজ করছে। কমিটিতে বিএনপি ও সমমনা লোকদের রাখা হয়েছে। তবে দায়িত্বশীলদের দাবি, এটি অরাজনৈতিক সংগঠন।

জানা গেছে, উপজেলা চর উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক সোলায়মান আলী সরকার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদুল হাবীব নয়ন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ কমিটির বেশির ভাগ সদস্য বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাইনবোর্ড টাঙানো প্রসঙ্গে সোলায়মান আলী বলেন, ‘ভবনটি নোংরা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। একে পরিচ্ছন্ন রাখতে চর উন্নয়ন কমিটির অফিসকক্ষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। আইনি কোনো বাধা থাকলে সরে যাব।’

সোলায়মান আরও বলেন, ‘আমরা যতটা জানি, জায়গাটি কারও নামে নেই। চর উন্নয়ন কমিটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা মনে করি, জায়গাটি যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে আশপাশের পরিবেশ ভালো থাকবে।’

এরশাদুল হাবীব বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছিল। কিন্তু যথাযথ কাগজপত্রের হদিস পাবেন না। তারা অবৈধভাবে এটি ব্যবহার করেছে। আমরা প্রক্রিয়া মেনে এ জায়গা ব্যবহার করব। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে লিজ নেওয়া যায় তা দেখা হবে। পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে আপাতত ভবনটিতে উপজেলা চর উন্নয়ন কমিটির কার্যক্রম চালানো হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘এভাবে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় দখল করা নিন্দনীয়। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের কিছু করার নেই। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছি না।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হায়দার আলী মিয়া বলেন, সাইনবোর্ড টাঙানোর বিষয় আমরা অবগত নয়। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।

উলিপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানি না।