শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার তৎকালিন চরকুমারিয়া বর্তমান আরশিনগর ইউনিয়নে আলোচিত ছয় ব্যক্তির চোখ উপড়ানো মামলা থেকে বিএনপি নেতা আজমল হোসেন নান্টু মালত ও তার বাহিনীকে খালাস দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। বরিবার (১১ মে) বিকালে উপজেলার মোল্লার বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী সহ হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেন। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আজমল হোসেন নান্টু মালত বর্তমানে শরীয়তপুরের সখিপুর থানা বিএনপি নেতা ও আরশীনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।

এতে বক্তব্য রাখেন, চোখ হারানো শফিকুল ইসলামের স্বপনের ছেলে জালাল উদ্দিন জুলফিকার, মইনুল ইসলাম অনিম, শরীফ সরদারের ছেলে জুয়েল সরদার, মেজবাহ উদ্দিন মাল, জালাল উদ্দিন মাদবর, শাহিন মাদবের ছেলে জুয়েল মাদবর ও রুবেল মাদবর, যুবদল নেতা আহমুদুর রহমান সম্রাট মোল্লা,চরকুমারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক খোকন মাঝি, সদস্য সচিব জান শরীফ মোল্যা, যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার রাড়ী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আজ ৩২ বছর যাবৎ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম এই অন্তর্বতী কালিন সরকারের সময় ন্যায় বিচার পাবো। তবে এই মামলার আসামী নান্টু মালত বাহিনী রাজনৈতিক বিবেচনায় খালাস হওয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারের দাবি জানাচ্ছি এই মামলার পূর্ণপর্যালোচনা করে দোষীদের বিচার করা।

জানাগেছে, বৃটিশ বিরোধী ফরায়েজি আন্দোলনে মরহুম হাজী শরীয়তুল্যাহ এর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং চরকুমারিয়া ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়্যারম্যান মরহুম হাজী মকবুল হোসেন মোল্যার কনিষ্ঠ পুত্র তৎকালীন চরাঞ্চচলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর জনাব মরহুম শফিকুল ইসলাম স্বপন মোল্যা সহ তার ৫ জন সহযোগীকে সালিশীর নামে ডেকে নিয়ে খাবারের টেবিলে বসিয়ে নৃশংস ভাবে চোখ উঠানো মামলার প্রধান আসামি ও চাঁদপুরে লঞ্চ ডাকাতি ও খুনের মামলার আসামি সহ অস্ত্র ভূমি দস্যু চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য মামলার আসামি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ক্রসফায়ার থেকে বেঁচে যাওয়া নান্টু সন্ত্রাসী নান্টু বাহীনির দ্বারা ১৯৯২ সালের লোমহর্ষক চোখ উঠানোর মামলা থেকে বিতর্কিত রায়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসী নান্টু বাহিনীকে খালাস প্রদান করার প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে উক্ত মামলার বিতর্কিত রায় বাতিল এবং মামলা পুণরায় পর্যালোচনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ