প্রকাশিত খবর মতে, সীমান্ত সংলগ্ন যেসব গ্রাম এবং শহর রয়েছে সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় এবং শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তায় পুলিশ নাকি তল্লাশি চালাচ্ছে। সমন্বয় রেখে কাজ করছে পুলিশ এবং বিএসএফ। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে হিলি সীমান্ত দণি দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাতে। এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারে ভুটান ও শিলিগুড়ির নেপাল সীমান্তেও এসএসসি এবং পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। সীমান্তে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। কুমারগ্রাম, কালচিনি ও মাদারিহাটে আন্তর্জাতিক ভুটান সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সন্দেহজনক ব্যক্তি দেখলেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এছাড়া কোলকাতা বিমাবন্দরের ন্যায় শিলিগুড়ি বাগডোকরা বিমানবন্দরকেও উচ্চ পর্যায়ে সর্তকতায় রাখা হয়েছে। এদিকে ওপার সীমান্তের কার্ফু ঘিরে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতায় প্রায় ১৪৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। তবে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের ওই এলাকার সীমান্তেবাসীদের নো-ম্যানস ল্যান্ড এলাকা দিয়ে চলাচল না করার জন্য বলা হয়েছে। এতে সীমান্তবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তথ্য মতে, নীলফামারী ব্যাটালিয়ান ৫৬ বিজিবির আওতায় দুটি জেলার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারীতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ও পঞ্চগড় জেলায় প্রায় ১২৩ কিলোমিটার সীমান্ত । এই সীমান্ত রায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নীলফামারীর ৫৬ ব্যাটালিয়ন দায়িত্ব পালনে রয়েছে ১৩টি বিওপি। সীমান্ত এলাকার এলাধিক জনপ্রতিনিধিরা জানান, ওপারে ভারতের অংশে কার্ফুর পাশাপাশি এখন ৩০০ গজ অন্তর অন্তর ৪/৫ করে বিএসএফ দায়িত্ব পালন করছে।
সীমান্তবাসীর সূত্রমতে, এ অঞ্চলের ওপারে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী, সোনাহাট, চেংরাবান্ধা, ফুলবাড়ি বিদ্ধমান। চিলাহাটির সাথে ওপারে হলদিবাড়ির সরাসরি রেলপথ রয়েছে। যদিও এ পথে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চিলাহাটি রেলপথের সীমান্তে ভারতীয় রেলগেট রয়েছে। ওই এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর নজরদারি সব থেকে বেশী। এ ছাড়াও পাটগ্রামে তিন বিঘা করিডোরেও বিজিবি নজরদারী বৃদ্ধি করেছে।
বিজিবি ৫৬ নীলফামারী ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রিয়াদ বলেন , আমরা আমাদের রুটিন অনুযায়ী সীমান্তে টহল অব্যাহত রেখেছি। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা কোর কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানান, নীলফামারী জেলার সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।