আইপিএল ২০২৫-এ ধারে কাছে যুদ্ধের ছায়া। বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ করেই স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম। খেলা চলছিল প্রথম ইনিংসে, পাঞ্জাব পৌঁছে গিয়েছিল ১২২ রানে ১ উইকেটে, তখনই নিভে যায় ফ্লাডলাইট। মাঠ ছাড়েন খেলোয়াড়, আম্পায়ার—এবং এরপরই শুরু হয় আতঙ্ক।

কেন এমন? পরে জানা যায়, জম্মু ও পাঠানকোট অঞ্চলে এয়ার রেইড অ্যালার্ট জারি হয়েছিল। পাকিস্তানের দিক থেকে আসা ড্রোন ও মিসাইল হানার আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। দর্শকদেরও দ্রুত স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ঠিক সেই মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এক চিয়ারলিডারের ভিডিও। তিনি বলেন, ‘গোটা স্টেডিয়াম খালি করা হচ্ছিল খেলার মাঝপথেই। খুবই ভয়ানক একটা মুহূর্ত ছিল। সবাই চিৎকার করছিল ‘বোমা আসছে!’ এখনও যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না—আমরা কেবল নিরাপদে থাকতে চাই। আমি কাঁদি না কেন জানি না, হয়তো এখনো শকে আছি।’

চিয়ারলিডারের সেই ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বহু ব্যবহারকারী তার নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন।

এদিকে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল জানান, ‘এটি একেবারেই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি। এখনই কোনো সরকারি নির্দেশনা পাইনি। তবে যা সিদ্ধান্ত হবে, তা খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও দর্শকদের সর্বোচ্চ স্বার্থ মাথায় রেখেই হবে।’

তিনি আরও জানান, লখনৌতে শুক্রবার লখনৌ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচ আপাতত নির্ধারিত সময়েই হওয়ার কথা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করেই নেওয়া হবে।

ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে, আর তারই ছায়া স্পষ্ট হয়ে উঠছে আইপিএলের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। এখন প্রশ্ন—আর কতটা নিরাপদ এই প্রতিযোগিতা? আর চিয়ারলিডারের ভাইরাল ভিডিও যেন সেই প্রশ্নকেই আরও তীব্র করে তুলেছে।