ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের অভিযানের সময় স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৭ মে) রাত ১০ টার দিকে মাদারগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই মোতালেব হোসেন ও এএসআই মাইদুল ইসলাম একটি অভিযানে চালিয়ে ঐ এলাকার আরাজী পাইকপাড়া গ্রামের শাহজাহান নামের এক আসামিকে আটক করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. তরিকুল ইসলাম ও মো. সজলসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশের ওপর চড়াও হন। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে টানা হেঁচড়া ও মারধর করে আটককৃত আসামি শাহজাহানকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে রহিমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হাসান মো. আব্দুল হান্নান (হান্নূ) বলেন, ‘তিনি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি শুনেছেন এবং জানতে পেরেছেন যে হামলাকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে।’ অন্যদিকে, রহমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আখতার ইসলাম জানান, ‘যারা এই ঘটনায় জড়িত তারা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

তিনি বলেন, ‘খুব শীঘ্রই তাদের দল থেকে বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ’ এছাড়াও, ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, চেক জালিয়াতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি শাহজাহানের বিরুদ্ধে। সেই মামলাগুলোর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবেই গতকাল রাতে পুলিশ তাকে আটক করতে গিয়েছিল। আটকের পরই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযানে পুলিশের সদস্য সংখ্যা কম থাকার কারণে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য থাকলে আসামি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেত না। আমরা সেই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি এবং আশা করি খুব শীঘ্রই তাকে আবার গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’ পুলিশ আরো জানায়, ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তারের জন্য জোরদার অভিযান চলছে।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ