বগুড়ার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম মিল্লাত হোসেনকে মারধর করে ডিবি পুলিশে দিয়েছে এনসিপির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটক হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম মিল্লাতকে এনসিপি নেতারা পুলিশে সোপর্দ করলে ডিবি কার্যালয় থেকে রাতেই বগুড়া সদর থানা হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটে নিজ চেম্বারে রোগী দেখার সময় তাকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাকে ডিবি পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শহরের নাটাইপাড়া এলাকা নিবাসী এস এম মিল্লাত স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিকেল থেকে নিজ চেম্বারে রোগী দেখছিলেন এস এম মিল্লাত হোসেন। রাত আটটার দিকে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানীর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী চেম্বার থেকে ধরে টেনেহিঁচড়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) সোপর্দ করা হয়। শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, কালিবাড়ী মোড় ও পৌরসভা লেন হয়ে ডিবি কার্যালয় পর্যন্ত নেয়ার সময় এস এম মিল্লাতকে থেমে থেমে মারধর করা হয় এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয় তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানীকে বলতে শোনা যায়, ‘অ্যাক (এস এম মিল্লাত) ছয় মাস আগে আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, আমাকে দুর্বল মনে করেছে। আমি স্পষ্ট কথা বলে দিতে চাই। বেশি কথার মানুষ আমি না, এক কথার মানুষ। একবার বলেছি মানে ওইটা ওয়ার্নিং হয়ে গেছে। সময়মতো ধরে ফেলে দিয়েছি। তুই আমার ভাইগরক ২০-২৫ বছর ধরে মারচু। দীলিপ রায়ের (স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি) কোনো সিন্ডিকেট রাখব না, আমরা আসতেছি। হাসনাতের ওপর হামলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ আল সানী বলেন, ৫ আগস্টের পর এস এম মিল্লাত ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে সহায়তা করছেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে অর্থ সহায়তা করছেন।
বার্তাবাজার/এসএইচ