আবেদনের এক মাসের বেশি সময়েও ভিসা না পাওয়ায় কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত ‘দ্য এসিও কানাডা সিম্পোজিয়াম ২০২৩’ প্রোগ্রামে যোগদান করতে পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ভিসা পেতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তাঁর সফরটি বাতিল হয়েছে। গত ১৫ জুন তিনি ঢাকায় কানাডার দূতাবাসে ভিসার আবেদন করেন। তবে দূতাবাস থেকে এখনও পাসপোর্ট ফেরত পাননি তিনি।

দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ এবং কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির যৌথ আয়োজনে প্রোগ্রামটি আজ বুধবার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য গত সোমবার ঢাকা ত্যাগের কথা ছিল তাঁর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ওরা ওয়েবসাইটে দেখায় বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু এক মাসেও হল না, আমার কাছেও বিষয়টি অবাক লাগল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কানাডায় ভিসার জন্য এটাই আমার প্রথম আবেদন। সম্ভবত প্রথম হলে একটু সময় লাগতে পারে। আমাদের বোধহয় দেরি হয়েছে। আমার কাছে অন্যকিছু বলেই মনে হয় না। আমার যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) ও যুক্তরাজ্যের (ইউকে) ভিসা রয়েছে। কানাডায় আগে আবেদন করিনি। এমন হতে পারে, প্রথম হয়তো, এজন্য টাইম (সময়) বেশি লাগছে। আমার কাছে এটাই মনে হয়, অনেকেও এটাই বলেছেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেকের দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে।’

অনলাইনে প্রোগ্রামটির বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলো থেকে এসিওভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞদের দিনব্যাপী এ সিম্পোজিয়ামে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। এতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন বৈষম্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৈষম্য কীভাবে মোকাবিলা করছে, তারা কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে—সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা উপস্থাপন ও আলোচনার সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার ও অন্তর্ভূক্তি, সামাজিক প্রভাব এবং বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় উচ্চশিক্ষা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—সে বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রোগ্রামে সশরীরে অংশগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে যাতায়াত, থাকা ও যাবতীয় খরচ আমন্ত্রিত ব্যক্তিকে বহন করতে হবে।

বার্তাবাজার/এম আই