বাংলাদেশের আইন মেনে ব্যবসা করতে না পারলে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) কোম্পানিকে দেশ ছাড়তে বলেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হুঁশিয়ারি দেন শ্রম উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয়ের (শ্রম) দায়িত্ব নিয়েছি সাত মাস হলো। এ সময়ে যে পরিমাণে সংকট হয়েছে, সেগুলো সব কিন্তু এই সাত মাসে তৈরি হয়নি। যেমন অনেক তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের দুই-তিন বছরের বেতনও বকেয়া আছে। এই গতকাল বিএটি বাংলাদেশের (ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বাংলাদেশ) কিছু লোক এসেছিলেন, যাদের ২০১৯ সালে ছাঁটাই করা হয়েছিল। আমি বিএটিকে বলেছি, ফলো দ্য ল অর ওয়াইন্ড ইয়োর বিজনেস অ্যান্ড গো (আপনারা হয় আইন মেনে চলেন, না হয় এ দেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যান)। এর চেয়ে কঠিন করতে বলতে পারলাম না। আমার কাছে তো আর কোনো উপায় নেই। আমি আর কত তার হাতে পায়ে ধরব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখনই কোনো সংকট হয়, তখন কিন্তু আমরা কাউকে খুঁজে পাই না। কিসের ট্রাইপার্টাইট (সংকট নিরসনে ত্রিপক্ষীয় কমিটি) আর কিসের কী। সংকট যখন আসে তখন আমি আর শ্রমসচিব নিজেদের ভাসমান অবস্থায় দেখি। কোথায় যেতে হবে জানি না। সুতরাং সংকটকালে সবাই একত্রে হিসেবে কাজ না করলে তা কার্যকর হবে না।’
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘সচিব মহোদয় কয়টা গার্মেন্টসের কথা বললেন। তারা সেসব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের ২০২১-২২ সালে চাকরিচ্যুত করেছে। তারা এখন ফেরত এসেছে। এখন তারা পরিশোধ টাকা করতে পারছে না। এই অবস্থা যদি হয়, তাহলে সমস্যা সমাধান কত বছরের মধ্যে, আমরা এগুলো কীভাবে ফেরত দেব, এগুলো কত বছরের মধ্যে কার্যকর হবে— সেগুলোর আমরা টাইমলাইন কীভাবে দেব। আমরা সেগুলো সমাধানে চেষ্টা করছি, দেখি কী হয়।’
বার্তাবাজার/এসএইচ