পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশের যোগসূত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম। ভারতের গদি মিডিয়া খ্যাত আজ তাক বাংলার একটি প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রতিবেদন প্রচার করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, নিছক কোনরূপ যোগসূত্র এবং যৌক্তিক সমালোচনার বাহিরে গিয়ে অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সময়ের কূটনীতিক সম্পর্ক এবং রাস্ট্রীয় যোগাযোগের নিন্দা করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে ভারতীয় এই গণমাধ্যমটি। অথচ ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিরপরাধ মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুতে জোরালোভাবে নিন্দা জানিয়েছিলো বাংলাদেশ।

গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এ নিষ্ঠুর সহিংসতার ঘটনায় ভুক্তভোগী সবার প্রতি আন্তরিক সহানুভূতিও প্রকাশ করে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের কূটনীতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। ভারতে নিযুক্ত জনৈক সাবেক কুটনৈতিকের বরাত দিয়ে জানা যায়, ভারতের আভ্যন্তরে সম্প্রতি উত্থাপিত বিতর্কিত ওয়াক্বফ সংশোধিত বিল নিয়ে যখন পুরো ভারতবর্ষের মুসলিম সমাজ একত্রিত হচ্ছিল। ঠিক তখনই মুসলিমদের মনোবল এবং একতা ভেঙে দিয়ে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য, সরকারের মদদেই এমন নিন্দনীয় ঘটনার উদ্ভব হয়েছে। এই মুহুর্তে ভারতীয়দের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কেবল তাদের আভ্যন্তরেই নয়, বরং বহির্বিশ্ব তথা দক্ষিণ এশিয়াতেই একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন নিন্দাসূচক কর্মকান্ডের বিষয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে, এমন একটি সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরের উর্দ্ধতন জনৈক কর্মকর্তা বলেন, শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে আমরা কূটনীতিক পদক্ষেপের দিকে অগ্রসর হবো। এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করার তাগিদ প্রদান করবো।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ