যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস শহরের বাইরে জোসেফিনে একটি প্রকল্প তৈরি করতে যাচ্ছে মুসলমানরা। কিন্তু সেই প্রকল্পে মসজিদ থাকায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসের বাইরে ৪০০ একর জমিতে একটি পরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্প তৈরি করতে চান মুসলিমরা। কিন্তু সেখানে মসজিদ থাকায় অনুমোদন পাচ্ছেন না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পের মধ্যে মসজিদ থাকায় গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে না দেওয়ার জন্য সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছেন। রিপাবলিকান এই গভর্নর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলছি, শরিয়া আইন টেক্সাসে অনুমোদিত নয়।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার প্রায় এক চতুর্থাংশ শতাব্দী পরও ইসলামি আইন বা শরিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে। নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে প্রস্তাবিত ইসলামিক সেন্টার নিয়ে ১৫ বছর আগে শুরু হওয়া রাজনৈতিক উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় এই বিরোধ দেখা দিচ্ছে। এই সময়ে ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ মেট্রো অঞ্চলের জনসংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রায় ৮.৩ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধি বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের আগমনের মাধ্যমে হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও ইহুদিরাও।

যারা প্রকল্পটির অনুমোদন চাচ্ছেন তারা মূলত ইস্ট প্লানো ইসলামিক সেন্টারের অধীনে রয়েছেন। আর ইসলামিক এই সেন্টারটি বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবা করে যাচ্ছে। যেমন: খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মসজিদটি এখন কয়েক হাজার মুসল্লির একটি কেন্দ্র। ইমাম বশির বলেন, মুসলমানরা সবার মতোই। তারা নিরাপদ এলাকা ও ভালো স্কুল চায়। তিনি আরও বলেন, আমার ইচ্ছা, আমি যদি প্রত্যেক আমেরিকানকে বলার সুযোগ পেতাম আমাদের ধর্ম নিয়ে যদি কারও প্রশ্ন থাকে, আসুন আমাদের সঙ্গে কথা বলুন, আমরা ব্যাখ্যা করব। স্থানীয় অন্য পাদ্রী অ্যান্ডি ওডম বলেন, ওরা সবসময় ভালো প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি ওদের জন্য প্রার্থনা করছি।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ