দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ‘এক শর্তে’ কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে সিরিয়া রাজি আছে। এমন দাবিই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মার্লিন স্টুটজম্যান। তিনি গত সপ্তাহে সিরিয়া সফরে গিয়ে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারার সঙ্গে দেখা করেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টকে এই আইনপ্রণেতা বলেছেন, “সারা জানিয়েছেন তিনি আব্রাহাম চুক্তি নিয়ে আলোচনায় রাজি আছেন। যা তাদেরকে ইসরায়েলের সঙ্গে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে। তবে এ ব্যাপারে অবশ্যই আলোচনা এবং পদক্ষেপ নিতে হবে।” ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সারা শর্ত দিয়েছেন পুরো সিরিয়ার অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে হবে। সিরিয়ার সব অংশ সিরিয়ারই থাকতে হবে।— জানান মার্লিন স্টুটজম্যান

তিনি বলেন, “সারার দুশ্চিন্তা হলো সিরিয়া খণ্ডিত হয়ে যাবে। তিনি এটি দেখতে চান না। তিনি চান সিরিয়া দেশ হিসেবে এক থাকবে। এছাড়া গোলান উপত্যকার কাছে সিরীয় যেসব অঞ্চল ইসরায়েল দখল করেছে সেগুলোও দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সারা বলেছেন, ইসরায়েল সিরিয়ার আর কোনো বোমা হামলা চালাতে পারবে না। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি তিনি আলোচনায় রাজি আছেন।”

গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক স্বৈরাচার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন হয়। এরপর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো মার্কিন আইনপ্রণেতারা দেশটিতে যান। সিরিয়ার মানুষ ট্রাম্পকে শ্রদ্ধা করেন বলে দাবি করেন এই রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান। তিনি বলেন, “দামেস্কে আমি যা দেখেছি, তারা চায় ‘সিরিয়া আবারও উন্নত হোক’। সিরিয়ার মানুষ ট্রাম্পকে শ্রদ্ধা করেন। আমি দেখতে পেয়েছি সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়।”

এদিকে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তাদের ওপর থেকে যেন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চাইলে সিরিয়াকে ইসরায়েলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন এই আইনপ্রণেতা। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতা, নারীদের স্বাধীনতা এবং সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান তিনি।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ