বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমানে দেশের সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তাই আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে,তা নির্ধারণের দায়িত্বও এখন তাদের কাঁধে।

বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ার চান্দইর গ্রামে চারু শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন,যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই,তবুও গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের সমর্থন দিয়েছে। সেই সমর্থনের প্রতিফলন হিসেবেই আজ তারা দেশ পরিচালনা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ দোসররা এখনো সমাজের নানা স্তরে সক্রিয়। তারা তৃণমূলে লুকিয়ে থেকে দেশজুড়ে নৈরাজ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদের হাতে আছে আগুন লাগানো ও সহিংসতার অর্থ ও অস্ত্র। এসব প্রতিরোধে সরকারের কী পরিকল্পনা,তা জনগণের কাছে স্পষ্ট করা উচিত।

মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়। যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবাদ করছে, তাদের উপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ হচ্ছে। এই ধরনের হামলা গণতন্ত্রকামী মানুষের উপর চালানো হচ্ছে এবং তার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা এখনো প্রশাসনের নজরের বাইরে।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার গণতন্ত্র সংগ্রামের ফসল। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের জবাবদিহিতা থাকা উচিত। মানুষ জানতে চায়, যারা ব্যাংক লুট করেছে, টাকার পাহাড় গড়েছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, তারা এখন কোথায়? অন্তর্বর্তী সরকার যদি তাদের খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়, তবে জনগণ একে ব্যর্থ সরকার বলবে। পরিদর্শনকালে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোকছেদুর রহমান,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ্যাড:আজাদ হোসেন খান, নুরতাজ আলম বাহার, গোলাম আবেদীন কায়সার সহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ