নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আদালতে বলেছেন, ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমি গর্বিত। আমি ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিও হত্যাকাণ্ড হয়নি।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে শুনানি চলাকালে এসব কথা বলেন সৈকত। তার এই মন্তব্যের পর আদালত কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাধারণ আইনজীবীরা তাকে সন্ত্রাসী ও খুনি বলে চিৎকার করে থামতে বলেন। এতেও দমে না গিয়ে কথা বলতে থাকেন সৈকত। এ সময় পাশ থেকে শাজাহান খান তাকে কথা চালিয়ে যেতে বলেন।
এরপর সৈকত আরো বলেন, ছাত্রলীগ খুনি দল না। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, আছি। আমি ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিও হত্যাকাণ্ড হয়নি। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এরপর আইনজীবীরা আবারো হট্টগোল শুরু করলে তাকে থামতে বলেন আদালত।
এ সময় শাজাহান খান আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত, একজন বন্দি কথা বলতে গেলে আইনজীবীরা যদি এভাবে থ্রেট করেন, এর বিচার আপনাকে করতে হবে। একজন বন্দি কি কথা বলতে পারবে না? তাদের দু’জনের কথার জবাবে মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আপনাদের কথা বলার অনেক সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু আদালতের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আসামিদেরও দায়িত্ব রয়েছে। এমন কোনো কথা বলবেন না যেন আদালতের পরিবেশ নষ্ট হয়। এরপর শুনানি শেষে সৈকতকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে তানভীর হাসান সৈকতকে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বার্তাবাজার/এসএইচ