ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের দেয়ালে শহীদ আবু সাইদের গ্রাফিতি মুছে বিএনপির তিন নেতার নামসহ স্লোগান লেখার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রদলের ধাওয়ার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধীর তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ চত্বরের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহরা হলেন—বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঈশ্বরদী শাখার সমন্বয়কের সদস্য তানজিদুর জামান দিহান ও তার সঙ্গী রাতুল হাসান এবং মেহেদী হাসান জিহাদ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঈশ্বরদী শাখার সমন্বয়কের সদস্য তানজিদুর জামান দিহান অভিযোগ করেন, কলেজের দেয়ালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদের ছবিসহ গ্রাফিতি লেখা ছিল। সেগুলো কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে মুছে ফেলা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় বিএনপির তিন নেতার নামসহ নয়নের নামে স্লোগান লেখা হয়েছে। এর প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করতে গেলে ছাত্রদলের ছেলেরা তাদের উপর হামলা করেছে।
এতে তিনিসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নের দাবি, কলেজে লেখার অনেক জায়গা রয়েছে। ৯০-এর গণ আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব ও স্থানীয় বিএনপির নেতা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুর নাম লেখা হয়েছে। এতে তারা আপত্তি করে স্থানীয় আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের নিয়ে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করেছে।
নয়ন আরো জানান, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে কলেজ চত্বরে ঈশ্বরদী কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আহ্বান করা হয়। এই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক তানজিদুর জামান দিহান আওয়ামী পরিবারের কিছু ছেলে মেয়েদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে পাল্টা কর্মসূচি পালন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে।
তার দাবি, বিষয়টি দেখে ছাত্রদলের ছেলেরা চারিদিক থেকে ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ জানান, কলেজ ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের কর্মসূচি পালনের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশসহ র্যাব অবস্থান নেয়। এতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ জানান, দুই পক্ষের মধ্যে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্য কলেজ চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নজরদারিতে রেখেছে।
বার্তাবাজার/এসএইচ