বরগুনার তালতলীতে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন রেজাউল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবক। এই ঘটনার একটি ভিডিও গতকাল রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের বড়পাড়া গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটে। রেজাউল ওই গ্রামের কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে।

রেজাউলের পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে শারিকখালী ইউনিয়নে আঙ্গারপাড়া গ্রামের সিদ্দিক শিকদারের মেয়ে সাথী আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রেজাউল ইসলামের। ওই দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

সর্বশেষ গতকাল রবিবার বিকেলে কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে সালিশদার এবং উভয়পক্ষের পরিবারের সম্মতিতে রেজাউল সাথী দম্পতির ইতি টেনে তালাকের সিদ্ধান্ত হয়। তালাকের পর ওইদিন রাত ৯টার দিকে রেজাউল তার বাড়ির উঠানে খোলা জায়গায় চেয়ারে বসে ২২ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেন। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

দুধ দিয়ে গোসল করা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী সাথীকে নিয়ে পারিবারিকভাবে আমি বড় অশান্তিতে ছিলাম। তালাকের পর এখন শান্তি পাচ্ছি। তাই দুধ দিয়ে গোসল করেছি। এখন আমি পাপ মুক্ত হয়েছি। আমার মতো এরকম অশান্তি যেন কারো ভাগ্যে না জোটে। যেকোনো ভদ্র শান্ত মেয়েকে বিয়ে করে আমি আবার আমার নতুন জীবন গড়তে চাই। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।’ এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সাথী বেগম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। রেজাউলের চাচাত ভাই সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘ভাইকে পাপ মুক্ত করে পবিত্র ভাবে ঘরে তোলার জন্য দুধ দিয়ে গোসল করিয়েছি।’

শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম সিকদার পনু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে আমিসহ গ্রামের অনেক লোক একাধিকবার সালিস বৈঠকও করেছি কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। তাই গতকাল রবিবারের বৈঠকে উভয় পরিবারের এবং সালিসদারদের সিদ্ধান্ত এবং সম্মতিতে তালাক হয়েছে।’

 

বার্তাবাজার/এসএইচ