বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র অগ্রভাগ কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বর্তমানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোববার (১৪ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৩০৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার এবং পায়রা বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ ইতোমধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার বিকেল অথবা সন্ধ্যা নাগাদ কক্সবাজার ও মায়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

মোখার কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা বন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। বেশ কিছু জেলায় জলোচ্ছ্বাস ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই