ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার ইজারা দেওয়া ৩ টি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের বৈধ টোল আদায়ে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ইজারা গ্রহীতা আরিফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় পৌরসভা কার্যালয়ের হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে টোল আদায়ে পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন এবং পৌর প্রশাসনের সহযোগিতা চান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়মনীতি মেনে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি ও স্থানীয়ভাবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে পৌরসভার আওতাধীন ৩টি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড ইজারা আহ্বান করে। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমি বাইপাস স্ট্যান্ডসহ ৩টি স্ট্যান্ড ইজারা বরাদ্দ পাই। ১৭ মার্চ ৩ শ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পৌরসভার সঙ্গে এক বছরের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ইজারা মূল্য, সরকারি ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধ করি। তিনি আরও বলেন, ১ বৈশাখ টোল আদায়ের সময় একটি সুযোগ সন্ধ্যানী মহল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে টোল আদায়ে বাঁধা দেয় এবং আদায়কারীদের মারধর করে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নামধারী কিছু লোক টোল আদায়ে বাধা দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন তিনি।

মো: আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা পৌরসভার নির্ধারিত ১৫ টাকা হারে টোল আদায় করছি, কোনো অতিরিক্ত টোল নেওয়া হচ্ছে না। একটি মহল চাঁদা আদায়ের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। তিনি সাংবাদিকদেরকে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার আহবান জানান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আখাউড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. তানবীর হোসেন বলেন বর্তমানে পৌরসভায় জনপ্রতিনিধি নাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন। সরকারি নীতিমালা মোতাবেক স্ট্যান্ড ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারা থেকে প্রাপ্ত টাকা পৌরসভার উন্নয়ন এবং বিভিন্ন খরচে ব্যয় করা হয়। টোল আদায়ে আখাউড়াবাসীর সহযোগিতা চান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়ছল আহমেদ খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ