ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে আপাতত বন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যদি আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়, তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মূল কার্যক্রম শুরু করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংকেত ওপরে উঠলে আমরা নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করব। ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বললে বন্দরে স্টান্ডিং কমিটির মিটিং হবে এবং অন্যান্য বিভিন্ন কমিটিকে অ্যালার্ট করা হবে। সংকেত ৫-এ গেলে জেটিতে থাকা জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে আপাতত আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করছি। সংকেত নিচে নেমে গেলে তো আর করার কিছু নেই। সংকেত ওপরে উঠলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ (১১ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরো ঘনীভূত হয়ে আগামীকাল (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়।

বার্তাবাজার/এম আই