আমেরিকায় শামীম ওসমানকে ভোট চোর ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করা বিএনপি নেতা বাদল মির্জার (৩২) বাড়িতে হামলা চালিয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নে এ ঘটে।

বাদল মির্জা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আমকি গ্রামের বাসিন্দা এবং যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পদপ্রার্থী।

ইতোমধ্যে ৩ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল উদ্দিনের নেতৃত্বে বাদল মির্জার বসতঘরের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাছির উদ্দীন সম্রাটসহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ককটেল হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের গাড়ি দেখে ভোট চোর স্লোগান দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপি সমর্থকেরা। এছাড়াও তাদের আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে নিয়েও বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। এসময় শামীম ওসমান গাড়ি থেকে নেমে বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনাস্থলে বাদল মির্জা উপস্থিত ছিলেন এবং শামীম ওসমানের সঙ্গে তর্কে জড়ান। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বাদল মির্জার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল উদ্দিনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

হামলার কথা স্বীকার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সুজন বলেন, শামীম ওসমান সারা বাংলাদেশের গর্ব। তাকে অপমান করা মানে আমাদের সবাইকে অপমান করা। মূলত বাদল মির্জা আওয়ামী লীগ ও আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তাই একজন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমরা মেনে নিতে পারিনি। তাই আজ তার ঘরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এসময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তার বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে।

এ বিষয়ে বাদল মির্জা বলেন, আমার বাড়িতে ছাত্রলীগের যেসব সন্ত্রাসীরা হামলা ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি আমি তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। এবং তীব্র নিন্দা জানাই। আমি শামীম ওসমান ভাইকে গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেছি কিন্তু কোনো কটূক্তি করিনি। আমার পরিবারের কেউ নিরাপদ নই। আমি প্রশাসনের কাছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা কামনা করছি।

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, হামলার বিষয়টি প্রথমে আপনার কাছে শুনেছি। কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আমি ছাত্রলীগের একটি সভায় আছি। পরে এ বিষয়ে কথা বলবো।

বার্তা বাজার/জে আই