ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশানে ইইউ’র কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। এর আগে দুপুর দুইটা ২৫ মিনিটে জামায়াতের প্রতিনিধি দল ইইউ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ২০১৪-১৮ সালে বাংলাদেশে একটি প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৮ সালের নির্বাচনে যদিও সকল দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো। সে নির্বাচনও বিতর্কিত ভাবে রাতের বেলায় অবৈধ ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। যা নির্বাচনের নামে অপরাধের একটা নতুন সংযোজন।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্টু নির্বাচন হতে পারে না। কেয়ার টেকার অথবা নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

ইইউ প্রতিনিধি দলকে জামাতের পক্ষ থেকে কি জানানো হয়েছে এমন সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, আমরা প্রতিনিধি দলকে বলেছি সুষ্ট নির্বাচন হলে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে। তবে পূর্বের ন্যায় অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাদের পর্যবেক্ষন নিস্প্রয়োজন। আ’লীগের অধীনে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হয়ে আসলে তারা সম্মানিত হবেন না।

কেয়ারটেকার বা নির্দলীয় যে নামেই হোক এ সংক্রান্ত আলোচনা বা সংলাপ হলে সকল রাজনৈতক দলের জন্য তা অর্থবহ হবেও জানান তিনি।

নিবন্ধন স্থগিত থাকায় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার ক্ষেত্র কোনরূপ সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নিবন্ধন স্থগিতাদেশ থাকাবস্থা আমরা ইতিমধ্যে ৫টি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছি। যেহেতু আমাদের নিবন্ধনের বিষয়টি আলাদতে বিচারাধীন, সেহেতু সভাসমাবেশ বা রাজনীতির সাথে বিচারাধীন থাকা নিবন্ধনের বিষয়টি সম্পর্কীয় নয়।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী সহিংসতা বিশ্বাস করে না। ইইউ অনুধাবন করেছে জামায়াত একটি মডারেট ইসলামী দল।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম।

 

 

ই.এক্স./ও.আর/বার্তা বাজার।