চীন ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদান করবে। এটি বাংলাদেশকে তার এলডিসি (স্বল্প উন্নত দেশ) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের পরেও চীনের বাজারে সুবিধা প্রদান করবে।
এই ঘোষণা চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিং শুয়াশিয়াং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে বো’আও স্টেট গেস্ট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দিয়েছেন। বৈঠকটি বো’আও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের অংশ ছিল এবং প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলেছে।
আলোচিত বিষয়সমূহ
১. শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার
চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশ ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বাংলাদেশের এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের পরেও এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
২. মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি
চীন বাংলাদেশ সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।
৩. উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন
চীন বাংলাদেশের মংলা পোর্ট আধুনিকীকরণ এবং দাশেরকান্দি স্যুয়েজ প্রকল্পে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া চীন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জন্য চারটি মহাসাগরগামী জাহাজ কেনার জন্যও অর্থায়ন করবে।
৪. শিল্প স্থানান্তরের সহায়তা
প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস চীনকে বাংলাদেশে প্রস্তুত পোশাক, বৈদ্যুতিক যান, উচ্চ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স এবং সোলার প্যানেল শিল্প স্থানান্তরের জন্য সহায়তা করতে অনুরোধ করেছেন। চায়না এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যাংক এই উদ্যোগে সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
৫. শিক্ষাগত এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়
বাংলাদেশ এবং চীন শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রেও সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বৃত্তি প্রদান অন্তর্ভুক্ত।
ভবিষ্যতের জন্য দৃঢ় সম্পর্ক
এই বৈঠকটি চীন এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে, এবং বাংলাদেশ চীনের বাজারে দীর্ঘমেয়াদী প্রবেশাধিকার পাবে, যা তার অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বার্তাবাজার/এস এইচ