প্রেমের টানে ভারতে চলে আসা পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দারকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো না হলে, হামলা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। এদিকে, এ ঘটনার পর পরই মুম্বাইজুড়ে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কে ও কোথা থেকে ফোনটি এসেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে চার সন্তান নিয়ে অবৈধ পথে ভারতে গেছেন, পেতেছেন সংসার। অবৈধভাবে ভারতে বসবাস ও প্রবেশের দায়ে গত ৪ জুলাই সীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়েছে সীমা।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, পাবজি গেম খেলতে গিয়ে ভারতের নয়ডার সচিন নামে এক যুবকের সঙ্গে পাকিস্তানি নারী সীমা গুলামের পরিচয় হয়। এরপর তা প্রেমে রুপ নেয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় দেশভাগের কাঁটাতার। পাকিস্তান থেকে ৪ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সীমা ভারতে আসেন। তবে যে পন্থা অবলম্বন করে তিনি ভারতে আসেন, তা সঠিক নয়। সীমা নেপালের পথ ধরে ভারতে চলে আসেন। তাকে ও তার ৪ সন্তানকে নিয়ে সীমা নয়ডায় সচিনের সঙ্গে একসঙ্গে ঘর বাঁধেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, তারা দুইজনে এখন নতুন করে জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখছেন। সীমা এনডিটিভিকে বলেছেন, আমার স্বামী একজন হিন্দু তাই আমিও হিন্দু এবং এখন আমি অনুভব করি আমিও একজন ভারতীয়।
তবে সর্বশেষ এই সীমার ভারতে আসা নিয়ে এবার হুমকি পেয়েছে ভারতের মুম্বাই পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সীমাকে পাকিস্তানে ফেরত না পাঠালে ২৬/১১ এর ধাঁচে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে মুম্বাই পুলিশকে।
অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির এমন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মুম্বাইজুড়ে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ফোন কে ও কোথা থেকে এসেছে, তা খতিয়ে দেখছে দেশটির পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গত বুধবার রাতে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে একটি ফোনকল আসে। সেই সময় এক ব্যক্তি উর্দুতে বলেন, সীমাকে পাকিস্তানে ফেরত না পাঠালে মুম্বাইয়ে আবারও ২৬/১১ দেখতে হবে।
বার্তা বাজার/জে আই