লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর বন্যায় পানিবন্দী হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের পানিবন্দী হওয়া বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল।

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাটে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। ফলে জেলার তিস্তাতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি ঢুকছে।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটারের চেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টায় ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়াও দুপুরে পানিপ্রবাহ কিছুটা কমলেও বিকেলে আবারও বৃদ্ধি পায়। ওইদিন বেলা ৩ টায় ১৭ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যায় ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, সরকারি ভাবে সাড়ে ৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। গড্ডিমারী ইউনিয়নে সাড়ে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। যার তুলনায় বরাদ্দটি অনেক কম। পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।

পরিদর্শনকালে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে হাতীবান্ধা উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হওয়া পরিবারের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বড়খাতা ও ফকিরপাড়া ইউনিয়নের কিছু অংশে তিস্তার পানি প্রবেশ করছে। মোট ৮টি ইউনিয়নে আমরা সবসময় খোঁজখবর নিচ্ছি।

বার্তাবাজার/রাহা