গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে বরিশাল ক্লাবের সভাপতির পদ দখল ও পদ না ছাড়ায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন ক্লাবের সদস্য মফিজুর রহমান চৌধুরী।
সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় ছেলে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, “মফিজুর রহমান চৌধুরী বরিশাল ক্লাবের ৪৬২ নম্বর সদস্য। মামলার ১ নম্বর বিবাদী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট বরিশাল ক্লাব লিমিটেডের সদস্য হন। তার সদস্য নম্বর ৬৭৬।”
বরিশাল ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি হওয়ার জন্য সদস্য পদে ১০ বছর থাকার বিধান রয়েছে। বিধান মতে সাদিক আবদুল্লাহ ২০২৬ সালে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারবেন। কিন্তু সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৯ সালের ৮ মার্চ গঠনতন্ত্রের ৩২ (খ) ধারা লঙ্ঘন করে বেআইনি ও অবৈধভাবে সভাপতির পদ দখল করেন।
তিনি বেআইনিভাবে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) জন্য ক্লাবের দুটি রুমে থাকার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খেয়ে বিল পরিশোধ করেননি। ফলে তার কাছে কোটি টাকার ওপরে পাওনা রয়েছে ক্লাবের। যার দায়ভার বাদীসহ ক্লাবের সদস্যদের বহন করতে হচ্ছে।
আজাদ রহমান বলেন, “প্রতি দুই বছর পর পর ক্লাবের স্থায়ী/আজীবন সদস্যদের ভোটে সভাপতি ও পরিচালকরা নির্বাচিত হন। অথচ পদ দখল করে ২০১৯ সালের পর থেকে কোনো ধরনের নির্বাচন দেননি সাদিক আবদুল্লাহ।”
গঠনতন্ত্র মতে মফিজুর রহমান ৭ জুলাই সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু সাদিক আবদুল্লাহ তা প্রত্যাখান করেন।