চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘রাজনীতিতে হিরো আলম বা নুরের মতো তথাকথিত নেতার উত্থানে নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা করছে বিএনপি। তারা চায় না, দেশ সমৃদ্ধ হোক। তারা রাজনীতিকে ভিন্ন ধারায় পরিচালিত করছে। গুলশান-বনানীতে হিরো আলমের প্রার্থী হওয়া কি স্বাভাবিক? এটা দুঃখজনক, আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাছির বলেন, ‘আমি কাউকে ছোট করছি না, অসম্মান করছি না। রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু কে কোথায় প্রার্থী হবে সেটার নূন্যতম একটা যোগ্যতার ব্যাপার আছে। নুর কিংবা আলমকে তথকথিতই বলবো। বিএনপি এদের সহযোগীতা করেছে।’
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘দেশের রাজনীতি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা আছে। একটি দল আছে তারা নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বন্ধের ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকে। তারা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি, অতীতের জ্বালাও পোড়াও আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতেও একই পন্থা অবলম্বনের অপচেষ্টায় আছে। এখানে যোগ্য লোকের অভাব নেই। ২৯ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন। বাকি ২৮ জন প্রার্থীকে সহায়তা করছে।’
নাছির বলেন, ‘আমরা যাই করিনা কেনো আগে দেশ ও মানুষের নিরাপত্তার কথা ভাবি। সহিংস পথ পরিহার করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবেন, এ আহ্বান করবো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি। বিদেশি প্রতিনিধিরা তাদের প্রতিক্রিয়া দিবে। আমরা একটা স্বাধীন দেশ। এখন আমরা অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াইয়ে আছি। সেই লক্ষ্যও অর্জিত হবে।’
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও লক্ষ্য অর্জনে আমরা সাংবাদিকদের সাথে বহুবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছি। এটাই চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ইতিহাস। আমি নির্বাচিত হলে শুধু নৌকার বিজয় হবে তা নয়, সুশাসনেরও বিজয় হবে। নৌকার বিজয়কে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে ছিটমহল পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। আমরা আরেকটি জয় উপহার দিতে চাই।’
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা নঈম উদ্দিন আহাম্মদ, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, মশিউর রহমান চৌধুরী, চন্দন ধর, শফর আলী, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দিন খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মনজু, ফরিদ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খোকা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।