শুধু রাজধানীই নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বেশ কয়েকজন যোগ দেন প্রতীকী কাফনের কাপড় পরে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বিজয়নগর পর্যন্ত এরকম প্রতিবাদী অবস্থানে দেখা গেছে অনেককে। সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে জীবনের পরোয়া করেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ শুরুর অনেক আগে থেকেই বিএনপির কর্মীরা সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে থাকা জিয়াউর রহমান আর্কাইভের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, আর হবেও না। আমরা নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জোর দাবি জানাই। আমাদের এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পতন চাই।

বিজয়নগর মোড়ে কাফনের কাপড় গায়ে উপস্থিত হয়েছিলেন রাশিদুল ইসলাম। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কর্মী। তিনি বলেন, আমরা এই সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে রাতেই ঢাকায় চলে আসছি। পথে পথে বিভিন্ন ধরনের বাধা ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের কয়েকজন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। আমরা তারপরও এখানে এসেছি। আমরা আমাদের জীবনের পরোয়া করি না। এজন্য আজ কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে এসেছি।

কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে রাস্তায় শুয়ে ছিলেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী ও জিয়াউর রহমান আর্কাইভের সহ-সভাপতি রোকেয়া হক রুকু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গুম খুন অপরাজনীতির সরকার। গত ১৫ বছরে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। এই সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে অনেক আগেই। তারা শুধু প্রশাসনের দাপটে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজ আমরা কাফনের কাপড় পরে মাঠে নেমেছি। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, হাসিনা সরকারের পতন চাই।

বার্তাবাজার/এম আই