নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বগুড়া জেলার এক নেতা ভোল পাল্টে এখন হয়েছেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্যসচিব। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।

জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া জেলা শাখার ৩৩৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরপরই এতে অছাত্র, চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের রাখায় ত্যাগীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে সংগঠনের সদস্যসচিব শাকিব খানের পদ স্থগিত করা হয়। কমিটিতে যুগ্ম সদস্যসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের সাঁতাহার আদর্শপাড়ার মো. মিঠুর ছেলে ও সান্তাহার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মেরাজ হোসেন। তিনি ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ কমিটির উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান।

মেরাজ দীর্ঘদিন বগুড়ার সান্তাহার সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। জেলা শাখার নেতা হওয়ার পর থেকে তিনি ছাত্রলীগের বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি ভোল পাল্টে ফেলেন। কৌশলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ৩০ জানুয়ারি বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটিতে ২৬ জন যুগ্ম সদস্যসচিবের মধ্যে মেরাজ হোসেনকে ১৬ নম্বরে রাখা হয়।

বিষয়টি প্রকাশ হলে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান জানান, মেরাজ হোসেন তাদের কমিটির নেতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কোনও কমিটিতে মেরাজ হোসেনের নাম থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে মেরাজ হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

বার্তাবাজার/এস এইচ