ভোলায় ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপি’র দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সড়কে গাছ ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে দেখা গেছে৷ সোমবার (১৭ই জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কে পরানগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে ও ইলিশা জংশন বাজারে পৃথক পৃথক এ বিক্ষোভ মিছিল করে ইউনিয়ন বিএনপির দুটি গ্রুপ৷ তবে পরানগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন কালামের বাড়ীর দরজায় তার সমর্থকরা ভোলা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক বন্ধ করে প্রায় দীর্ঘ ১ ঘণ্টা। পরে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে৷
ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মহসিন গাজী জানান, কেন্দ্র ঘোষনা অনুযায়ী জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপি ব্যানারে সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ভোলা মোল্লা ব্রিজ কাছাকাছি গেলে সেখানে থাকা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন কালামের নেতৃত্বাধীন পৃথক আরেকটি মিছিল আমাদের মিছিলটিকে পণ্ড করার জন্য সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন কালামের ছেলে মান্নান সমাবেশের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা প্রতিবাদ ও বাধা প্রদান করি৷ এক পর্যায়ে তারা আমাদের উপর চড়াও হলে আমাদের নেতাকর্মীরা উত্তপ্ত হয়ে উঠে৷ পরে আমাদের নেতাকর্মীদের শান্ত করে সমাবেশ সফল করে বাড়ী ফেরার পথে আফসার উদ্দিন কালামের ছেলে মান্নান তাদের বাড়ীর দরজায় স্থানীয় আওয়ামিলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে ইলিশা জংশনের নিরীহ কোন কর্মী পেলেও গাড়ী থেকে নামিয়ে মারধর করেন৷ এ ঘটনায় তাদের ৫/৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এঘটনার প্রতিবাদে ইলিশা জংশন বাজারে বিএনপির একটি পক্ষের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করতে দেখা গেছে৷
এবিষয়ে ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন কালাম জানান, জেলা সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আমরা মোল্লা ব্রীজের কাছাকাছি গেলে পিছন থেকে হঠাৎ অতর্কিত হামলা করে আব্দুর রহমান (খান সাহেব), সোহেল, সেলিম, জিয়াদের নেতৃত্বে একটি দল। এতে আফসার উদ্দিন কালামের উপর হামলাসহ ইলিশা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মাইনউদ্দিন নামের একজনকে পিটিয়ে মাথা পাঠিয়ে দেয়৷ এছাড়াও সেখানে থাকা তাদের আরো ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানান তিনি৷ এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে কালাম মেম্বারের বাড়ীর দরজায় ভোলা লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখে তার সমর্থকরা৷ পরে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন৷ এঘটনায় ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপির দু’গ্রুপের নেতা কর্মীদের মাঝে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে। উভয় পক্ষের মোট ১০ জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শুনেছি ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপি সমাবেশে আসার পথে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। সেই ইস্যু নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন একটি পক্ষ। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ জেলা ও থানা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দদের সাথে যোগাযোগ করে তাৎক্ষনাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়৷ এছাড়াও উক্ত ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে যদি কোন লিখিত অভিযোগ পাই তার আলোকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷
বার্তাবাজার/এস এইচ