চারদিনের সফরে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকায় এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তাদের স্বাগত জানান। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন তারা। এরই মধ্যে সরকার পতনের এক দফা দাবি নিয়ে আজ আসছে বিএনপি ও সমমনা দলের যুগপৎ আন্দোলনের নতুন ঘোষণা। পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে সরকারি দল আওয়ামী লীগও।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সরকার পতনের এক দফা দাবি ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি এবং দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো। বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে ডাকা হয়েছে সমাবেশ। এই সমাবেশে বিপুল জমায়েত নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি সেরে এনেছে বিএনপি। তবে রাজপথে বিরোধী দলগুলোকে একপাক্ষিক সুযোগ দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একই দিন একই সময়ে ক্ষমতাসীন দলটিও ডেকেছে শান্তি সমাবেশ। নেতাকর্মীদের দেওয়া হয়েছে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা।

এদিকে প্রতিনিধি দলটি আগামী নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি জানান, কোন দেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বললে, সেটা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হয় না।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় চারদিনের সফরে ঢাকা এসেছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বুধবার তারা কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শণ করবেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন। পরে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবেন তারা। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করবে মার্কিন প্রতিনিধি দল।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ব্রিফিংয়ে বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সরকার এবং বিএনপির সাথে আলোচনা করবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে এসব বলেন তিনি।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যকে রাশিয়া, চীন ও ইরান অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলেছে-এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলা হস্তক্ষেপ নয়। তিনি বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।

বার্তাবাজার/এম আই