গত পাঁচই ফেব্রুয়ারী ভেঙ্গে ফেলা হয় আওয়ামীলীগ এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি। যার পেছনে মুলত ছাত্র ও জনতার প্রত্যক্ষ মদদ বলা হলেও একাধিক রাজনৈতিক এবং নাগরিক অংগ সংগঠনের উগ্র ও কতিপয় বিপ্লবী বিক্ষুব্ধ সমর্থক এই ভাঙ্গচুরের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এমনটি ধারণা পাওয়া যায় জাতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে দিয়ে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ই ফেব্রুয়ারী জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারে একটি সংবাদ দ্রুত সংক্রমণবেগে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে শিরোনাম ছিলো , “ধানমন্ডি ৩২ এর শিবলিঙ্গ এখন দেশজুড়ে আলোচনায়”। সংবাদটি তৎকালীন সময়ের বিবেচনায় তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। সেই সাথে বিষয়টির পক্ষে ও বিপক্ষে নানাবিধ যুক্তি ও তর্ক উত্থাপিত হয়।

অবশেষে জানা যায়, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের দক্ষিণ তিরুপতি শহরে অবস্থিত গুডিমল্লম পরশুরামেশ্বর মন্দিরের অধিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ এটি। যা প্রচীন ও বিরলতম হবার পাশাপাশি যথাপযুক্ত ধর্মীয় আচার ও গাম্ভির্য্য সমৃদ্ধ। একটি আন্তর্যাতিক গণমমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, রামচন্দ্র রেড্ডি নামে মন্দিরের একজন মুখপাত্র ১০ ফেব্রুয়ারি এএফপিকে বলেন: “এই প্রাচীন মূর্তিটি গুড্ডিমালার পরশুরামেশ্বর মন্দিরে অবস্থিত ভগবান শিবের। মূর্তিটির অনেক ছবি ইন্টারনেটে দেখা যায়, কিন্তু আমরা বলতে পারি না কে ছবটি তুলেছে”।

অতঃপর একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র ও তথ্যের বিশ্লেষনে এটি নির্নিত হয় যে, গত ৬ই ফেব্রুয়ারী বার্তা বাজারে প্রকাশিত সংবাদটি আদতে অসত্য এবং ভিত্তিহীন।

ফলে সম্পাদকীয় বিভাগ এবং জাতীয় সংবাদ বিভাগের ত্রুটি ও বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হবার সঙ্গে সঙ্গে এটি স্বাধীন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বরাতে অত্যান্ত দুঃখজনক এবং অমার্জনীয় যা সম্পাদক ও প্রকাশককে রীতিমত ব্যথিত করেছে। আসন্ন সময়ে এমন ত্রুটি আর কখনোই হবার কোন সম্ভাবনা নেই মর্মে সম্পাদক ও প্রকাশকের পাশাপাশি পুরো বার্তা বাজার নির্বাহী ও সম্পাদকীয় বিভাগ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

বার্তাবাজার/এস এইচ