নীলফামারীর ডিমলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের প্রকাশ্য লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় এই বিতরণ কার্যক্রম চালানো হয়। তবে প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, এক তরুণ আওয়ামী লীগের লিফলেট হাতে নিয়ে নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন বয়স্ক ব্যক্তি ছাত্রলীগ নেতাদের শেখানো বক্তব্য দিচ্ছেন, যেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দিতে বলা হয়। এর আগে গতকাল দুপুরে ডিমলা থানার পাশের ফরেস্ট এলাকায় প্রায় ৫০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু প্রশাসন ছিল নিরব।

এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা যুগ্ম সদস্য সচিব জাফর হোসেন জাকির নয়া দিগন্তকে বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ করলেও প্রশাসনের কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি। এ ধরনের উদাসীনতা আইনশৃঙ্খলার জন্য যেমন হুমকি, তেমনিভাবে আমরা অনিরাপদ। যদি প্রশাসন আগেভাগে ব্যবস্থা নিত, তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অপরাধীরা এতটা বেপরোয়া হতে পারত না।”

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির উপজেলা প্রতিনিধি আরিফ হাসান মীর নয়া দিগন্তকে বলেন, “প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন কি সত্যিই কিছু জানত না, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব ছিল? নিষিদ্ধ সংগঠনের এমন কার্যক্রমের পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।” এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহী জানান, “যেহেতু ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন তাদের সকল কার্যক্রম কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

 

বার্তাবাজার/এস এইচ