পটুয়াখালীর জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কলাপাড়া উপজেলা ,পৌর ও সরাসরি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার আধঘণ্টার মাথায় তা স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সোমবার(১০ জুলাই) রাত সাড়ে এগারোটায় পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ এর স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা প্যাডে কলাপাড়া উপজেলায় হাসিবুল হাসান কে সভাপতি ও বাবু তালুকদার কে সাধারন সম্পাদক,পৌরসভায় রাকিবুল হাসান রাব্বি কে সভাপতি ও রাকিবুল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারি কলেজ শাখায় জসিম উদ্দিন জিতু কে সভাপতি ও মিজানুর রহমান মুসা কে সাধারন সম্পাদক করে এক বছরের জন্য আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
তবে কমিটি ঘোষনার পরপরই বিতর্কিত,একাধিক মামলার আসামি, অসাংগঠনিক ও বিনএপি পরিবারের লোকদের দিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে।কেউ কেউ বলছেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিতর্কিত এবং বিএনপি পরিবারের লোকদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ।
ফলে আধঘণ্টার মাথায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক প্যাডে উক্ত সব কমিটি সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়।এতে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে ত্যাগী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরদের মাঝে।এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত কে স্বাগতম জানিয়ে শহরজুড়ে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের তৃনমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিক তালুকদার বলেন,মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিএনপি পরিবারের লোকদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছে জেলা ছাত্রলীগ।যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।তাছাড়া জেলা ছাত্রলীগের এমন আচরণে ছাত্রলীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।এসময় তিনি সকল কমিটি অবিলম্বে বিলুপ্তির দাবি জানান।
কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিস্বাস ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান অমি গাজী বলেন,তারা স্বপ্নও এমন কমিটি আশা করেন নি।ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন এখানে অছাত্র,মামলার আসামি,বিএনপি পরিবারের কোন স্থান নেই।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত কে সাধুবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগের এ নেতা দ্রুত পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করার অনুরোধ জানান।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব তালুকদার বলেন,ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হওয়া উচিৎ ত্যাগী এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাক্তিদের দিয়ে।এভাবে বিতর্কিত এবং বিনপির পরিবারের সদস্যদের ছাত্রলীগের কমিটিতে অন্তভুর্ক্ত করলে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনটি ধ্বংস হয়ে যাবে। এসময় তিনি বিতর্কিত কমিটি অবিলম্বে কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
বার্তা বাজার/জে আই