আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অন্যের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে সাবেক শিবির ক্যাডার মোয়াজ্জেম মোর্শেদের বিরুদ্ধে। পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রানে রক্ষা পায় ভূক্তভোগী জমি মালিক।

গত ৯ জুলাই কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের উত্তর কাহাতিয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিগত ১৯৮৫ সালে রশিদ নগর ইউনিয়নের কাহাতিয়া পাড়া এলাকার মওলানা ইউসুফ আলী থেকে ২১০৫ দলিল মূলে ৩০ শতক ও ১১২৩ দলিল মূলে আহমদুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ শতক, মোট  ৮০ শতক জমি কিনে নেন একই এলাকার রশিদ আহমদ। সেই থেকে আজ অব্দি রশিদ আহমদ ওই জমিতে চাষবাস ও ভোগ দখলে রয়েছেন।

কিন্তু ইউসুফ আলীর মৃত্যুরপর তার ছেলে মঞ্জুর মোর্শেদ উরফে দলিল মলই এবং তার ছেলে মোয়াজ্জেম মোর্শেদ মিলে উক্ত জমিতে তাদের জমি রয়েছে বলে ২০১৭ সালে আদালতে মামলা করেন। সেখানে ২টি মামলায় আব্দুর রশিদের জমির মালিকানা বৈধ বলে রায় দেয়। অপর একটি মামলা আদালত চলমান রয়েছে। এদিকে আরেক আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত নালিশি ভূমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।

ভূক্তভোগী জমির মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, মঞ্জুর ও মোয়াজ্জেম মোর্শেদ আদালতের আদেশের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ৯ জুলাই আকস্মিক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে আমাকে শাররিক ভাবে লাঞ্চিত করে এবং কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে সহযোগীতা চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বীর্ঘ বছর ধরে জমিটি আব্দুর রশিদের বলেই তারা জানেন এবং তাদেরকেই চাষ করতে দেখেন এলাকাবাসী। হঠাৎ এভাবে দলবল যোগে দা-কিরিচ নিয়ে জমি দখল করতে আসাটা গ্রামে অশান্তি ডেকে আনতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।

তবে জবরদখলের অভিযুক্ত সাবেক শিবির ক্যাডার মোয়াজ্জেম মোরশেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই জমি রশিদের না। রশিদের জমি অন্য দাগে। তবে আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তেজিত হয়ে নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নেতা ও এপিপি আকরামুল হুদা মোয়াজ্জেম আইনজীবী নয় বলে নিশ্চিত করেন।

এই ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই জহির জানান, পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে নালিশী জমিতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মোয়াজ্জেম মোর্শেদের নেতৃত্বে নামানো ট্রাক্টর সরিয়ে দেয়া হয়। আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের আগে জমিতে হস্তক্ষেপ না করতে বারন করা হয়।

বিষটি নিয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, আদালতের আদেশ থাকলে পুলিশ সে অনুযায়ী কাজ করবে। তবে যদি জবরদখল ও আইনশৃঙখলার অমান্যের বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তা ক্ষতিয়ে দেখবে পুলিশ।

বার্তা বাজার/জে আই