কিশোরগঞ্জ ভৈরবের আঞ্চলিক মহাসড়কের আকবরনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাইনবোর্ডে আকবরনগর বাজার লেখা হয়। ওই সাইনবোর্ডে মিরারচর এলাকার নাম নাথাকাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ ২০জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১০ জুলাই) দুপরে উপজেলার আকবরনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০-২৫ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় রাবার বুলেটের আঘাতে ৪ জন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষ কয়েক ঘন্টা চলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ওই এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক ও জনপদ বিভাগ শুধুমাত্র আকবরনগর বাজার লিখে সড়কের পাশে একটি সাইনবোর্ডটি লাগায়। পরে পার্শ্ববর্তী মিরারচর গ্রামের লোকজন সাইনবোর্ডটি ভেঙে ফেলেন। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্য সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনার সময় কিছুলোক ১৫ থেকে ২০টি দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে খবর পেয়ে ভৈরব ও কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ২০-২৫ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ভৈরব অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ওসমান মিয়া জানান, সড়কের প্রতিটি বাজারে আমরা বাজারের নাম উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি। এটা অফিসিয়াল নির্দেশ। ভৈরবের আকবরনগর বাজারটির মৌজার নাম আকবরনগর। তাই সাইনবোর্ডে আকবরনগর বাজার লেখা হয়েছে। মিরারচর গ্রামটি অনেক দূরে এবং বাজারের মৌজার নাম যেহেতু আকবরনগর, এ কারণে নামটি লেখা হয়। নিয়মের বাইরে আমরা সাইনবোর্ডে নাম লিখতে পারি না। নাম নিয়ে দুই দল ঝগড়া করলে আমাদের কি করার আছে।

এ বিষয়ে কালিকাপ্রসাদ ইউ-পি চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া বলেন, বাজারের নাম নিয়ে দুই দল গ্রামবাসী এর আগেও ঝগড়া করেছে। আজও তারা সরকারি সাইনবোর্ডের নাম নিয়ে ঝগড়া করে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমরা আলোচনায় বসেছি।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান,সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে মীমাংসার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছ।

বার্তাবাজার/এম আই