টাঙ্গাইলের মির্জাপুর রাকিব (২৪) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার নিজ অন্তঃসত্তা স্ত্রী হুমায়রাকে (১৯) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পরে মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, তারা ঘটনার খবর পেয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গত ১৮ জানুয়ারি শনিবার সকলে হুমায়রার ময়নাতদন্ত এবং মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হয়েছে বলে জানা যায়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাকিব এবং হুমায়রার প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে। দেড় বছর প্রেম করার পর নানা প্রলোভন ও অনেকটা জিম্মি করে হুমায়রা কি বিয়ে করে রাকিব। মূলত রাকিবের বাড়ি থেকে হুমায়রার বাবা-মায়ের কাছে মেয়ের প্রাপ্য সম্পদের জন্য বারবার হুমায়রাকে চাপ দিচ্ছিল তারা। এমনকি বিয়ের পর থেকেই হুমায়রার উপর এ নিয়ে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সংসারে লেগেই থাকতো অশান্তি।
স্থানীয়রা জানান, রাকিব একাধিকবার হুমায়রার বাবা-মায়ের সম্পত্তি রাকিবের নামে লিখে দিতে বলে এবং এ নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করে। যা একাধিকবার হুমায়রা তার পরিবারকে জানায়। এবিষয়ে হুমায়রার বাবা সৈয়দ আহমেদ হোসেন জানান, আমার মেয়ে রাকিবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। কিছুদিন থেকে সম্পত্তির জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু এজন্য তাকে এভাবে মেরে ফেলবে এটা আমরা ভাবতে পারিনি। আর কোন বাবা মাকে যেন এভাবে সন্তান হারা হতে না হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর কঠোর বিচার দাবী করছি।
এদিকে ময়নাতদন্তে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রকিবুল হাসান খান জানান, ময়নাতদন্তে গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শরীরের অন্যান্য স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শ্বাসরোধো হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। দ্রুতই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান, কেউ কোন অভিযোগ না করায় অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত-পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্তাবাজার/ এস এইচ