পটুয়াখালী মারকাজ মসজিদে গত শুক্রবার ইমামকে মারধর নয় বরং ইমামের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন সাদপন্থিরা। রবিবার (১২ জানুয়ারী) পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মাহমুদুর রহমান লিটু।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পূর্বে মারকাজ মসজিদের ইমাম সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় ৪০/৫০ জন যোবায়ের পন্থী সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকে। পরে ইমামের নেতৃত্বে আমাদের (সাদপন্থিদের) উপর হামলা শুরু করে। মসজিদের ভেতরে এরকম হামলায় হতভম্ব হয়ে পরে সাধারণ মুসল্লীগন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মসজিদের ভেতরে ঢুকে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান এবং এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন তারা।

এসময় ওলামা মাশায়েখ, তবলীগী নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবী গুলো হলো, জেলা মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইদুল ইসলামকে মারকাজে ইমাম পদ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করা, জোবায়ের পন্থী সাইদুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করা, মারকাজ মসজিদে যেহেতু দুই পক্ষই আলাদা আমল করেন সেহেতু যেদিন যে পক্ষ আমল করবেন ঐদিন ঐ পক্ষের ইমাম, মুয়াজ্জিন মসজিদে আজান, নামাজসহ সকল খেদমত সম্পন্ন করবে বলে দাবি জানানো হয়। জেলায় উভয় পক্ষের কোন জোড়, ইজতেমায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে বাধা দিতে পারবে না। যদি বাঁধা দেয় তবে সেই পক্ষ দোষী হবে এবং সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

এছাড়া জোবায়ের পন্থীরা আল আমিনের উপর যে হামলার কথা বলেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং যোবায়ের পন্থীদের হামলায় সাদপন্থিদের লোকজন আহত হন। যার ভিডিও ফুটেজ দেখলে সবাই বুঝতে পারবে সবাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব আঃ হাই হাওলাদার, মাওলানা জুনায়েদ, মাওলানা আব্দুর রশিদ, আহমেদ ফয়সালসহ আল আমিন খান।

 

বার্তাবাজার/এস এইচ